তেতো কথা - Printable Version +- BD Netizen (https://bdnetizen.com) +-- Forum: রাষ্ট্র (https://bdnetizen.com/forumdisplay.php?fid=1) +--- Forum: সংবিধান (https://bdnetizen.com/forumdisplay.php?fid=11) +--- Thread: তেতো কথা (/showthread.php?tid=25) |
তেতো কথা - fahim - 09-30-2024 একটি তেতো কথা বলি, ড. আসিফ নজরুলের আওয়ামিপ্রেম, শেখ মুজিব প্রেম নিয়ে অনেকবার সমালোচনা করেছি। :/ সেটা নিয়ে আবার আপনাদের অনেকেই আমার সমালোচনা করেছেন। আপনাদের অনেকের যুক্তি ছিল যেহেতু উনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বলছেন, তাই উনার সমালোচনা করা উচিত না। আমার যুক্তি ছিল, উনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। সেটার প্রশংসা করব। কিন্তু উনি যে ইন্টেলেকচ্যুয়াল স্ট্যান্ড নিয়েছেন, সেটা আমারমত ক্ষুদ্র লোকের মনে হয়েছে যে, এটা আওয়ামি নামক বিষবৃক্ষকে বাচিয়ে রাখার চেষ্টা। উনি টকশোতে বারবার বলতেন আওয়ামিলীগের মত ঐতিহ্যবাহী দল কেমনে গণতন্ত্র হরণ করে! মানে উনি অবাক হতেন বারবার! অথচ বাস্থবতা হল, আওয়ামিলিগ ৭৫ এর বাকশালকেও একবাক্যে মেনে নিয়েছে। হাসিনার ৮৬ এর মোনাফেকিও একবাক্যে মেনে নিয়েছে। ১২ পরবর্তী স্বৈরশাসন, গুম, খুন, দুর্নীতি সব দলীয়ভাবে আওয়ামিলিগ ঔন করেছে। আমার স্ট্যান্ড ছিল, এইরকম গণবিরোধি দল অভিশপ্ত। ঐতিহ্যবাহী না। শুধু পুরাতন হলেই যদি ঐতিহ্যবাহী হয়ে যেত, তাইলে মুসলিম লীগ, জামাত তো আরও বেশী ঐতিহ্যবাহী। উনি শেখ মুজিবকে বংগবন্ধু বলতে অজ্ঞান ছিলেন ও আছেন ( সম্ভবত)। উনার বংবন্ধু প্রেমে বলা "বংবন্ধু অনেক বড় নেতা, বিশাল মনের অধিকারী, তার অপ্রকাশিত আত্মজীবনী সকল পলিটিশিয়ানের পড়া উচিত " ইত্যাদি কথার বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ছিল। আপনি ৭২ পরবর্তি শেখ মুজিবকে উদার গণতান্ত্রিক বলে শেখ হাসিনার সমালোচনা করতে পারেন না। যেই লোক দশ লক্ষ ( কনজার্ভেটিভ হিসেবে) লোক যখন দুর্ভিক্ষে মারা গেছে, তখন ছেলেদের সোনার মুকুট পড়িয়ে বিয়ে দেন। উনি আর যাই হোক গণবান্ধব নেতা না। অথচ তাকে ঠিকিয়ে রাখতে, প্রাসংগিক করে রাখতে আসিফ নজরুল ১৭ বছর অবেক চেষ্টা করেছেন। শেখ মুজিবের মুর্তির পতনের মধ্য দিয়ে আসিফ নজরুলদের জনতা মেসেজ দিয়েছে। এতকথা বলার উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য হল আসিফ নজরুলের বর্তমান সংবিধান প্রীতি। সরকার গঠনের আগ থেকেই আসিফ নজরুল মুল ভুমিকায় চলে আসেন। চুপ্পুর কাছে গণুভ্যুথানে বিজয়ী সরকার শপথ নিল, তখন কৌতুহুলী মনে প্রশ্ন এসেছিল। কিন্তু প্রশ্ন তুলিনি, নেগেটিভিটি ছড়াচ্ছি অপবাদ গায়ে এসে পরবে ভেবে। খেয়াল করুন, গত ১৫ বছরে বিএনপি জামাত ও হাসিনা বিরোধী সিভিল সোসাইটির অনেকেই এই সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে বলে অনেকবারই বলেছে। কিন্তু আপনি টকশোতে দেখবেন, আসিফ নজরুল ৭২ এর সংবিধানকে শুধু আপহোল্ডই করতেন না, সেটার গুণমুগ্ধ ছিলেন। উনি ৭২ এর সংবিধানকে মাথায় তুলে শুধু সংশোধনির সমালোচনা করতেন। অথচ ৭২ এর সংবিধান ইন্ডিয়ান সংবিধানের নকল। এটার জনগণের মতামত নেওয়া হয়নি। আওয়ামী চিন্তাধারার সম্মিলেন ঘটেছে এই সংবিধানে। ২৪ এ যখন সবাই নতুন দিনের শুরু করতে যাচ্ছে, তখন গোজামিল হিসেবে ৭২ এর সংবিধানকে আবার ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই সরকারের মুল সিইও যেহেতু আসিফ নজরুল, ধারণা করি উনিই নতুন সংবিধান চাচ্ছেন না। উনার চাওয়া আর মাহফুজ_মতি দের চাওয়া একই রেখায় মিলে যায় এখানে এসে যায় সরকার যদি সংবিধান পরিবর্তন করতে না চায়, তাইলে নির্বাচনী সংস্কার করে নির্বাচন দিয়ে দিক। তারেক রহমানের প্রতিশ্রুত "জাতিয় সরকার" সবাইকে নিয়ে "জনআকাংখ্যা"ভিত্তিক নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে গণভোটের মাধ্যমে তার ম্যান্ডেট জনগণের কাছ থেকে নিয়ে সর্বজনীন সংবিধান প্রণয়ন করবে। যেখানে রিপাবলিকের বাংলা অর্থ প্রজাতন্ত্র ( আওয়ামিলীগের দেওয়া অর্থ) অর্থাৎ মালিককে দাস বানানো থেকে ফিরিয়ে দেশের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। যখনই আপনি প্রজা বানাবেন, তখন প্রজাদের রুল করার জন্য এক্কগাদা আমলা কামলার নামে লাঠিয়াল তৈরী করবেন। গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ কোন জনগণের সিভিল সার্ভেন্ট তৈরী হয়নি, কোন পুলিশ তৈরী হয়নি, কোন মিলিটারী তৈরী করা হয়নি। জনগণকে শাসন করার জন্য সিভিল মিলিটারী ও পলিটিক্যাল দলের মিথস্ক্রিয়ায় একপাল শাসক তৈরী হয়েছিল। জনগণের কন্ট্রিবিউশন ছিল শুধু "শাসিত ও শোষিত হওয়া" মিনিমাম নাগরিক গ্যারান্টি নিয়ে। তাই নতুন দিনে নতুন সংবিধান দরকার। রাজনৈতিক দল ও অভ্যুথানের পক্ষের সিভিল সোসাইটির দাবী সেটাই। |