প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন বিতর্ক - Printable Version +- BD Netizen (https://bdnetizen.com) +-- Forum: ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান (https://bdnetizen.com/forumdisplay.php?fid=10) +--- Forum: রাস্ট্র সংস্কার (https://bdnetizen.com/forumdisplay.php?fid=54) +--- Thread: প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন বিতর্ক (/showthread.php?tid=27) |
প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন বিতর্ক - fahim - 10-13-2024 সংসদকে প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বানানোর অর্থই হল রাজনীতিকে শেষ করে দিয়ে ঢাকার এলিটদের ক্ষমতার সুযোগ করে দেওয়া। মনে করুন সিলেটের এম ইলিয়াস আলীর কথা। তথাকথিত এলিট অবশ্যই নয়। ছাত্ররাজনীতি করেছেন, দলের সুনাম দুর্নাম দুটাই কুড়িয়েছেন। প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন করলে ভদ্রলোকদের ক্লাবে ইলিয়াস আলী ঢুকতে পারতেন না। অথচ আপনি বিশ্বনাথে যান। দেখুন মানুষ তাকে পাগলের মত ভালবাসে। এলাকার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে তার উন্নয়নের ছোয়া। ঢাকায় বইসা এলিটিজম করা লোকদের দ্বারা কি তা সম্ভব? আবার ধরুন মেজর আখতারের কথা। বিএনপিকে বিব্রত করেছেন এই লোকটি নিয়মিত। তারপরও তাকে ২০১৮ তে তাকে বিএনপি নমিনেশন দিতে বাধ্য হয়েছিল তার জনপ্রিয়তার কারণে। প্রপর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশনে সেটা চিন্তাই করা যেত না। এমনিতেই তেলবাজের খনি বাংলাদেশ। তখন রাজনীতিতে তেল আরও বেড়ে যাবে। আমি আপনাদের বিএনপিতে অন্তত ২০ জন নেতার নাম বলে দিতে পারব, যারা এলাকায় গিয়ে এম্পি হতে পারবেন না। কিন্তু তারা দলের হাইকমান্ডের কাছকাছি। এদের অধিকাংশই এম্পি নমিনেশন পাবেন না। কারণ এলাকায় তাদের জনপ্রিয়তা নাই। প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশনে তাদের অনেকেই সম্পর্কের ফাক দিয়ে সংসদে ঢুকে যেত। একজন এম্পি একটি এলাকার অভিভাবকের মত। সুখে দু:খে মানুষ তাকে কাছে পায়। ওয়েষ্ট মিন্সটেরিয়াল ডেমোক্রেসি দিয়ে পশ্চিমা দেশ গুলো উন্নতির শিখরে যেতে পারলে, বাংলাদেশ কেন নয়? প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন থাকলে জন করবিন কখনও এম্পিই হতে পারত না। কারণ সে এলিট না। অথচ আজ বিশ্ব মানবতার পক্ষে ব্রিটিশ সংসদে সবচেয়ে সরব সেই। ব্রিটিশ সংসদে সেই এলাকার এম্পিরাই মানবতার পক্ষে সরব যাদের এলাকার মানুষ যুদ্ধ বিরোধী। প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশনে এটা হত না। প্রপর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন জনগনকে বঞ্চিত করা হবে। রাজনীতি তখন আর জনগনের থাকবেনা। বিএনপির যেহেতু একটি প্রস্থাবনা আছে উচ্চ কক্ষের। সেখানে ১০০ টি আসন দিয়ে প্রতি তিন পার্সেন্ট ভোটের জন্য একটি করে উচ্চ কক্ষের আসন দেওয়া যেতে পারে। এতে সরকারের ক্রিটিক বাড়বে। বাংলাদেশের সমস্যা এটা না। সমস্যা মানুষের দুর্নীতি করার মানসিকতা। সেটা আর্থিক দুর্নীতি থেকে শুরু করে চিন্তার দুর্নীতি, সব কিছুতেই ভরপুর। এইদেশে সবাই নিজে বাদে অন্যকে সুফি দেখতে চায়। সমস্যা এখানে। আপনি একজন আর্মীর অফিসার জিজ্ঞাসা করুন, সে আপনাকে সৎ ভাবে রাষ্ট্র চালনার ১০০ পরামর্শ দিবে। কিন্তু যদি আপনি বলেন ডিজিএফআইর রাজনৈতিক ইনভলবমেন্ট কমানো দরকার, দেখবেন নীরব হয়ে গেছেন। আবার যদি বলেন ক্যান্টনমেন্ট ঢাকার ভিতর থেকে সরিয়ে আশেপাশে কোথাও সরিয়ে নেওয়া উচিত। দেখবেন প্রতিবাদ করবেন। আর্মীর কথা কেন বললাম? কারণ নৈতিকভাবে এখনও আর্মী এজ এ প্রতিষ্টান সবার চেয়ে এগিয়ে। সেটা আলেম উলামাদের চেয়েও। সবচেয়ে নৈতিক লোকরাও নিজেরা বাদে অন্যদের কে দেখতে চায় সিষ্টেম মাইনা চলতেছে। আমাদের জাতি হিসেবে সমস্যা এখানে। মানুষের মুরাল ভেল্যুর উন্নতি, বোঝাপরা ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে ছাড় দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতাটাই নাই। এই মানসিক ও চিন্তার দুর্নীতিই আমাদের সমস্যা। বস্তুত, প্রপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশনের ধান্ধা এসেছেই সেই চিন্তার দুর্নীতি থেকে। |