11-01-2024, 04:43 PM
তারেক রহমানের দূরদর্শিতা দেখুন;
বিপ্লবের পরপরই বিএনপি মহাসমাবেশ করে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে। তারা বলে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন।
ঐ মুহূর্তে এই দাবি অবশ্যই অজনপ্রিয় ছিল। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে এই বুলেটটি তারেক রহমান বুকে পেতে নেন। অন্যদিকে, স্বল্প দৃষ্টিসম্পন্ন আমিরে জামাত বলে ফেলেন যে, রক্তের দাগ শুকানোর আগেই তারা নির্বাচন চায়।
পরে বিএনপি দাবি করে যে ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব এবং একটি নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবি জানায়।
বিএনপির আমেরিকার নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্বেগ ছিল, কারণ ট্রাম্পের আগের আমলে বিএনপি দেখেছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে তার উদাসীনতা ছিল। বরং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ভারতীয় প্রভাবের অধীনে থাকুক, এটি তার জন্য অধিকতর গ্রহণযোগ্য ছিল।
তাই বিএনপির লক্ষ্য ছিল অন্তত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা, যা বিপ্লবকে সুসংহত করতে সহায়ক হবে।
আমিরে জামাত ও অন্যান্য দল বলতে শুরু করল, বিএনপি ক্ষমতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অথচ বিএনপি বারবার বলেছে, আগামী দুই সরকার হবে জাতীয় সরকার, অর্থাৎ সবাই মিলে দেশ পরিচালনার করবে।
বিএনপি জানে, বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অন্তত দশ বছর দেশ চালাতে হবে, যাতে প্রতিবিপ্লবের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।
সেই সময়ের তারেক রহমানের বক্তব্যগুলো খেয়াল করুন। তিনি বারবার বলেছেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্রের বিজয় এখনও আসেনি।
তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এখনও অনেক সংকট রয়ে গেছে, যা উত্তেজিত অন্য দলের নেতারা বুঝতে পারেননি এবং এখনও ভুলে আছেন।
দেখুন, বিএনপি বা তারেক রহমান যখন এই দাবি জানিয়েছিলেন, তখন তারা জানতেন যে সমালোচিত হবেন। ক্লিন ইমেজের ফখরুল ইসলামকে নিয়ে কিছু সাইকো মহল অশ্লীল ভাষায় সমালোচনা করেছে অনলাইনে, অফলাইনেও অনেক সনালোচনা হয়েছে। অথচ এখন সবাই রোডম্যাপ চাইছে, চিৎকার করছে।
বিএনপি যখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কথা বলেছে, তখন কিছু দল জাতীয় সংগীত বিতর্ক, চুপ্প বিতর্ক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক টেনে এনে বিপ্লবী গোষ্ঠীর মধ্যে অনৈক্য তৈরি করছে। বিপ্লবের শক্তি দুর্বল হচ্ছে।
আপনি দেখবেন, যারা নিজেদের বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তারা বিএনপির প্রতিটি পদক্ষেপের বিপক্ষেই অবস্থান নিচ্ছে।
অথচ আশঙ্কার বিষয়টি অনেকেই দেখতে পাচ্ছেন না। হাসিনা ফিরে আসলে কারা অস্তিত্বের হুমকির মুখে পড়বে, সেটি সবাই মনে রাখবেন।
বিপ্লবের পরপরই বিএনপি মহাসমাবেশ করে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে। তারা বলে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন।
ঐ মুহূর্তে এই দাবি অবশ্যই অজনপ্রিয় ছিল। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে এই বুলেটটি তারেক রহমান বুকে পেতে নেন। অন্যদিকে, স্বল্প দৃষ্টিসম্পন্ন আমিরে জামাত বলে ফেলেন যে, রক্তের দাগ শুকানোর আগেই তারা নির্বাচন চায়।
পরে বিএনপি দাবি করে যে ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব এবং একটি নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবি জানায়।
বিএনপির আমেরিকার নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্বেগ ছিল, কারণ ট্রাম্পের আগের আমলে বিএনপি দেখেছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে তার উদাসীনতা ছিল। বরং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ভারতীয় প্রভাবের অধীনে থাকুক, এটি তার জন্য অধিকতর গ্রহণযোগ্য ছিল।
তাই বিএনপির লক্ষ্য ছিল অন্তত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা, যা বিপ্লবকে সুসংহত করতে সহায়ক হবে।
আমিরে জামাত ও অন্যান্য দল বলতে শুরু করল, বিএনপি ক্ষমতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অথচ বিএনপি বারবার বলেছে, আগামী দুই সরকার হবে জাতীয় সরকার, অর্থাৎ সবাই মিলে দেশ পরিচালনার করবে।
বিএনপি জানে, বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অন্তত দশ বছর দেশ চালাতে হবে, যাতে প্রতিবিপ্লবের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।
সেই সময়ের তারেক রহমানের বক্তব্যগুলো খেয়াল করুন। তিনি বারবার বলেছেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্রের বিজয় এখনও আসেনি।
তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এখনও অনেক সংকট রয়ে গেছে, যা উত্তেজিত অন্য দলের নেতারা বুঝতে পারেননি এবং এখনও ভুলে আছেন।
দেখুন, বিএনপি বা তারেক রহমান যখন এই দাবি জানিয়েছিলেন, তখন তারা জানতেন যে সমালোচিত হবেন। ক্লিন ইমেজের ফখরুল ইসলামকে নিয়ে কিছু সাইকো মহল অশ্লীল ভাষায় সমালোচনা করেছে অনলাইনে, অফলাইনেও অনেক সনালোচনা হয়েছে। অথচ এখন সবাই রোডম্যাপ চাইছে, চিৎকার করছে।
বিএনপি যখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কথা বলেছে, তখন কিছু দল জাতীয় সংগীত বিতর্ক, চুপ্প বিতর্ক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক টেনে এনে বিপ্লবী গোষ্ঠীর মধ্যে অনৈক্য তৈরি করছে। বিপ্লবের শক্তি দুর্বল হচ্ছে।
আপনি দেখবেন, যারা নিজেদের বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তারা বিএনপির প্রতিটি পদক্ষেপের বিপক্ষেই অবস্থান নিচ্ছে।
অথচ আশঙ্কার বিষয়টি অনেকেই দেখতে পাচ্ছেন না। হাসিনা ফিরে আসলে কারা অস্তিত্বের হুমকির মুখে পড়বে, সেটি সবাই মনে রাখবেন।